মাবিয়া রহমান, মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুরে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মনিরামপুর থানার দুই উপ-পুলিশ পরিদর্শকের(এস আই) প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মনিরামপুর প্রেসক্লাবসহ উপজেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দরা।

৩১ শে আগস্ট বুধবার বিকেলে মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করে মনিরামপুর প্রেসক্লাব। এ সময় উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন দুষ্টু, সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মজনু, সহ-সভাপতি জিএম ফারুক আলম, সিনিয়র সাংবাদিক আব্বাস উদ্দিন, সিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক বাবুল আক্তার, আজম খান,আবু বক্কার, দৈনিক কলম কথা’র প্রকাশক ও সম্পাদক সুমন চক্রবর্তী, রবিউল ইসলাম,তাজাম্মুল হোসেন, সাজু, রাশেদ আলী, রাকিব রাফসান ও দৈনিক যশোর পত্রিকার মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মাবিয়া রহমানসহ জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের অনেক সাংবাদিক বৃন্দ।

প্রত্যাহারের দাবিকৃত দুই কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর ও এসআই আলমগীর হোসেন। আবু বক্কর মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

জানা যায়,গত ৩০ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে পৌরসভার মোহনপুর এলাকায় দুই চা দোকানিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে এসআই আবু বক্কর।ঘটনা জানতে পেরে মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর ও সমাজের কথা পত্রিকার সাংবাদিক মোতাহার হোসেন(দুষ্টু) তথ্য সংগ্র করতে থানায় যায়। তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে আসামিদের গ্রেফতার করার কারণ জানতে চাইলে এসআই আবু বক্কর ও আলমগীর বাগ-বিতান্ড করতে শুরু করে এবং গালিগালাজসহ অবাঞ্চিত, শব্দ ব্যবহার করে উক্ত সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ফারুক হোসেন লিটন বলেন, এস আই আবু বক্কার মাদক কারবারিদের সাথে জড়িত। তার কারণে মনিরামপুরে মাদক ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সে মাদক কারবারিদের সাথে আতত করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মোহনপুরে ২ জন গরিব চা দোকানদারদের উচ্ছেদ করার ভয় দেখিয়ে থানায় ধরে এনে চাঁদাবাজি করছিল।আর সেই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক মোতাহার হোসেনকে লাঞ্ছিত করে দুই এসআই। আমরা উক্ত দুই এসআইকে শাস্তি এবং প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে প্রত্যাহার না করলে পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

সব মহল থেকে দাবি উঠেছে অনতিবিলম্বে ওই দুইজন এস,আই এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি অবিলম্বে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে।

এ বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করলে থানা থেকে কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি।